গতকাল মেঘ জমেছিল শহরে, সঙ্গে এপাশ-ওপাশ বৃষ্টিও পড়েছে। এমন এক সময়ে মেঘলা দিনে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ‘একলা’ হওয়ার গান গেয়েছিলেন। জানলার সামনে আর বাইরে বৃষ্টি আর শ্রীলেখার কণ্ঠে শোনা গেল হেমন্তু মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া— ‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন, কাছে যাবো কবে পাবো ওগো তোমার নিমন্ত্রণ।’ ভিডিয়োতে গানের শেষে ফ্লাইয়িং কিসও দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজের ফ্যানদের উদ্দেশ্যে। কেউ লিখেছেন ‘গলাটা তো বেশ দারুণ’ আবার কেউ লিখেছেন ‘রোববার বিকেল পাঁচটায় আসবে?’
কিন্তু এত সব সুখ্যাতির মধ্যে এক অশ্লীল কমেন্ট বাকি সমস্ত ভালকে ছাপিয়ে গিয়েছে। আবারও বডি শেমিং? সেই পোস্টে শ্রীলেখা মিত্রকে বডি শেমিং করা হল। পৌলমী বিনয় যোশী নামক এক ইনস্টা প্রোফাইল থেকে লেখা হয়েছে, ‘স্ট্র্যাপটা খুলে ফেলো, আরও ভাল লাগবে, আরও ভাল বডি শো-অফ করবে’। না, শ্রীলেখা মিত্র চুপ থাকার পাত্রী একেবারেই নন। কমেন্টটি দেখা মাত্র তিনি রিপ্লাই দেন, ‘পৌলমী বিনয় যোশী নামক কেন বলুন তো? আপনার পরতে ইচ্ছে করছে বুঝি কিন্তু পারছেন না, হুম বুঝি জ্বালাটা।
সেই ভিডিয়োর স্ক্রিনশট এবং সেই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা। ক্যাপশনে লেখেন, ‘একটি রিল পোস্ট করার পরে ইন্সটা মন্তব্য। মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাস্টার আমি নই, তবে বিশ্লেষণাত্মক মন রয়েছে তাই এই ধরণের নারীর প্রতি সহানুভূতি রয়েছে এবং আপনারা ভাবেন সব সময় পুরুষরাই এসব করে!!! অন্য ‘মিত্র’র কথা ভুলে গিয়েছেন যে আমাকে বডি শেমিং এবং স্লাট শেমিং করেছিল। ওটা বিরক্তকর ছিল, এটা নয়।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেরই মনে হয়েছে, ‘মিত্র’ বলতে শ্রীলেখা হয়তো রিমঝিম মিত্রকে বোঝাতে চেয়েছেন। কারণ গত মে মাসে রিমঝিমের লেখা এক কমেন্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন শ্রীলেখা। সেখানে দেখা যায় যে জনৈক শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পোস্টের কমেন্ট সেকশনে রিমঝিম মিত্র লিখেছেন, ‘থলথল বৌদি আমায় ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিণ্ড কি এটা ঠিক করল আমার সঙ্গে?’ এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নামকে বিকৃত করে খানিক সারকাজমের সুরে রিমঝিম লিখেছেন, ‘মুদী মাস্ট রিজাইন’। সেই শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ওয়ান অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ওয়ান্ডার বামপন্থী বৌদি অভিনেত্রী’…। না, কমেন্টে রিমঝিম বা ওই ব্যক্তি শ্রীলেখার নাম নেননি। তবে বুঝতে কারোর অসুবিধে হয়নি কথাটি কাকে বলতে চেয়েছিলেন।