অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য বামেদের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন পূর্তির মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন সোমবার। দলের একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন তিনি। অনেকে মনে করেছিলেন, গেরুয়া শিবির ছেড়ে হয়তো এবার তিনি বামে এসে যোগ দিলেন কিন্তু বুধবার দল ছাড়ার কথা জানিয়ে নিজের নেটমাধ্যমে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে দীর্ঘ চিঠিও লেখেন তিনি। তারপরেই তিনি জানান যে, বাম দল কেন, কোনও রাজনৈতিক দলেই আর ফিরছেন না রূপা। তাঁর সাম্প্রতিকতম পোস্ট অনুযায়ী, অভিনেত্রী রূপা রাজনীতি ছাড়লেন। স্পষ্ট ভাষায় সে কথা জানিয়ে তিনি লিখেন যে, ‘অন্য কোনও রাজনৈতিক দলেই যোগ দিচ্ছি না। মানুষের ভালর জন্য ন্যায্য কথা বলব। ভাল কাজকে সমর্থন করব। খারাপের প্রতিবাদ করব।’
তিনি বামদের আমন্ত্রণে সে দলের বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন যে তিনি ওই দলেই যাবেন হয়তো কিন্তু অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্যের সঙ্গে সে দিনের কর্মসূচিতে এসেছিলেন অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁদের উপস্থিতি নিয়ে নেটমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এবং অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অনিন্দ্য-রূপা দলে থাকলে তাঁরা দলত্যাগ করবেন, এই কথাও জানান তাঁরা। তবে কি এটাই কারণ রাজনীতি ছাড়ার অভিনেত্রী রূপার?
এখনও জবাব মেলেনি। তবে বুধবারের পোস্টে রূপা সরাসরি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ আনেন। অভিনেত্রী সাফ জানিয়েছেন, যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁরা জানেন, বিজেপির অন্দরে ‘লবিবাজি’র কথা। সেখানে মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠদের দিলীপ ঘোষ চেনেন না! তাই তিন বছর ধরে দলের হয়ে কাজ করার পরেও বিজেপির অন্দরে রূপা এবং তাঁর সতীর্থরা সেই অভিমান নিয়েই দলত্যাগ করেন।