অবশেষে শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা নীরবতা ভাঙলেন। ‘যারা আমাদের কষ্ট দেয়, আমরা তাদের দিকে রাগ করে তাকাই। আমরা হতাশ হই। দুর্ভাগ্য সহ্য করি। আমরা ভয় পাই হয়তো এই ভেবে যে চাকরি চলে যাবে আমাদের, কোনও রোগ হবে বা কোনও প্রিয় মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। আমাদের বাঁচতে হবে এই মুহূর্তে। কী হয়ে গিয়েছে বা হতে পারে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই।’
স্বামী রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতারের চার দিন পর শিল্পার প্রথম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভেসে উঠল এই বাক্যগুলি যা আমেরিকান লেখক জেমস থার্বারের লেখা। মুখে কোনও কথা না বলেও বর্তমানে নিজের অবস্থান যেন স্পষ্ট করে দিলেন অভিনেত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, যা ঘটে গিয়েছে বা যা ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে ভেবে ভেঙে পড়তে তিনি রাজি নন। এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই যেন তাঁর কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। সে কথা আরও স্পষ্ট হয়, শিল্পার স্টোরির শেষ ভাগে চোখ রাখলে। সেখানে লেখা, ‘দীর্ঘ শ্বাস নিই একটা। আমি ভাগ্যবান, আমি বেঁচে আছি। প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি অতীতে। ভবিষ্যতেও হব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি যে ভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তা থেকে কেউ সরিয়ে আনতে পারবে না আমায়।’
স্বামী আপাতত হাজতবাসে। চারিদিকে নিন্দার ঝড়। শিল্পার দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। জীবনের এই মোড় ঘোরানো পরিস্থিতেই মুক্তি পাচ্ছে শিল্পার ছবি ‘হাঙ্গামা ২’। অজস্র বিতর্কেও মাঝেও পুরোপুরি পাল্টে যায়নি অভিনেত্রীর পেশাগত জীবনের গতিপথ।
পর্ন-কাণ্ডে রাজ গ্রেফতার হওয়ার পরেই শিল্পার দিকে সন্দেহের অভিমুখ ঘুরে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, স্বামীর ব্যবসার সঙ্গে কি শিল্পাও জড়িত ছিলেন? আর যদি তা নাও থাকেন, তিনি কি সত্যিই রাজের এই ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে কিছু জানতেন না? যদি জেনে থাকেন, তা হলে আটকাননি কেন তিনি?
তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ এখনও শিল্পার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আপাতত ডেকে পাঠানো হয়নি অভিনেত্রীকে। রাজের গ্রেফতারের পর তিনি মা এবং বোন শমিতা শেট্টির সঙ্গে থাকছেন। বন্ধ রেখেছেন রিয়্যালিটি শোয়ের শ্যুটও।