বলিউডের অভিনেত্রী আমিশা পটেলের নাম শুনলে প্রথমেই মনে পড়বে যে ছবির নাম, সেটা হল ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’। হৃতিক রোশন এবং আমিশা পটেলের ডেবিউ হয়েছিল সেই বিখ্যাত ছবির মাধ্যমেই। তবে পরে আর ফিল্মের কাজে সেভাবে নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি আমিশা। এ জন্য নায়িকা অনেকাংশেই ফিল্মি পলিটিক্সকে দায়ী করেছেন।
ঠিক ২০ বছর আগে মুক্তি পাওয়া সুভাষ ঘাই পরিচালিত ছবি ‘ইয়াদে’ তে হৃতিক রোশন এবং করিনা কাপুরকে অভিনয় করতে দেখেছিলেন দর্শক। সে ছবিতে নাকি আমিশার অভিনয় করার কথা ছিল, তবে অভিনেত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ফিল্মি পলিটিক্সের কারণেই নাকি করিনা সুযোগ পেয়েছিলেন।
২০০০ সালে করিনা এবং আমিশা দুজনেরই একসাথে কেরিয়ার শুরু করে ছিলেন। রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবিতেই নাকি প্রথম অভিনয় করার কথা ছিল করিনার। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে শুটিং শুরু করেও ওই প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন করিনা। এর নেপথ্যে নাকি একমাত্র কারণ করিনার মা ববিতা। করিনা ওই ছবি ছেড়ে দেওয়ার পরে সেই ছবিতে আমিশা সুযোগ পান।
সেই একই বছরে জে পি দত্তর ছবি ‘রিফিউজি’তে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে ফিল্মের যাত্রা শুরু করেন করিনা। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে করিনা জানিয়েছিলেন, রাকেশ রোশন নাকি প্রতিটি ফ্রেমেই তাঁর ছেলে হৃতিককে রেখেছেন। আমিশার উপর কম ফোকাস করা হয়েছে। ফলে তিনি ছবিটি ছেড়ে দেওয়ার পরও তাঁর কোন রকম আফসোস নেই।
অন্যদিকে ‘ইয়াদে’ ছবি থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে ফিল্মি দুনিয়ার রাজনীতিকে টেনে এনেছিলেন আমিশা। তিনি অফার গ্রহণ করার পরও তাঁকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্ন করলে নাকি পরিচালক সুভাষ ঘাই শুধুমাত্র তাঁকে ‘গড ব্লেস ইউ’ বলেছিলেন। সে ছবি তেমন সাফল্য পায়নি বক্স অফিসে। সে কারণেই পরে আবার আমিশা জানান, ওই ছবিতে তিনি অভিনয় করতে না পারলেও তাই তাঁরও কোন আফসোস হয়নি।