‘রামধনু’ ছবির লালটু ও মিতালীকে বাঙলি আজও মনে রেখেছে। ২০১৪ সালে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিলো এই ছবিটি। তাঁদের ছবি মানেই বরাবর একটা অন্য রকম বিষয়। চেনা পরিবেশ, চেনা অনুভূতি আর অতি সাধারণ গল্পেই গড়ে উঠেছিলো ‘রামধনু’। লালটু এবং মিতালী দুজনেই একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের দম্পতি। তাঁদের রোজনামচার গল্প আমাদের খুবই চেনা। এরই মধ্যে যে বিষয়ভাবনা ধরা পরে তা দর্শকদের আরও মন কেড়ে ছিল তা হল আপাত দৃষ্টিতে অতি সাধারণ, অথচ নিদ্রাভঙ্গ করা একটি সমস্যার বিষয় – ‘ছোটদের স্কুলে ভর্তি’।

নামকরা ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পাঁচ বছরের ছেলেকে ভর্তি করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মা। ‘রামধনু’তে ছেলে গোগোলকে স্কুলে ভর্তি করে লালটু-মিতালী চলে আসে ‘হামি’র গল্প শোনাতে। ‘হামি’ হল নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০১৮ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ছবি। এই ছবির গল্প বড় স্কুলে ভর্তি হওয়া আর সেই স্কুলে লেখাপড়া করা এই বিষয় নিয়ে। আর স্কুল মানেই বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্বেরও গল্প বলেছে এই ছবি। ঘরের গণ্ডির বাইরে প্রথম বন্ধুত্বের পরশ পাওয়া আর সেই সঙ্গে লালটু-মিতালীর অর্থ-সামাজিক উন্নতিও ধরা পড়েছিল সেখানে। এবার নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তৈরি করতে চলেছেন ‘হামি টু’। করোনা না থাকলে অনেক আগেই তৈরি হয়ে যেত এই ছবি। আটকে ছিল বেশ অনেক গুলি মাস তবে অবশেষে আজ থেকেই শুটিং শুরু হচ্ছে এই ছবির। অন্য দিকে তৃতীয়বারের জন্য পর্দায় ফিরছে লালটু-মিতালীর জুটি।
‘রামধনু’ ও ‘হামি’ এই দুই ছবিতে লালটু-মিতালীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও গার্গী রায়চৌধুরী। তাঁদের দুজনের অভিনয় দর্শক বেশ নিয়েছিল, তাই হয়তো তাঁদের নাম এখনও মনে রেখেছে দর্শক। সোমবার রাতে শুটিংয়ে ফেরার আনন্দ ব্যক্ত করে শিবপ্রসাদ জানান যে, তৃতীয়বার লালটু হচ্ছেন তিনি। তবে পদবী ও পেশাতে নাকি অন্য চমক থাকছে।আজ থেকে শুটিং শুরু হচ্ছে। তাই পরিচালক-অভিনেতা আশীর্বাদ চেয়েছেন দর্শকদের কাছে থেকে যাতে তাঁদের এই আশীর্বাদে আরও ভালো একটা ছবি যেন উপহার দিতে পারেন।