রাজ কুন্দ্রা সম্পর্কে উঠে এল আরও নতুন তথ্য। পুলিশি তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, গুগ্ল এবং অ্যাপল স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজের ‘হটশটস’ অ্যাপ (যেখানে তাঁর তৈরি ছবিগুলি দেখানো হত)। ব্যবসা চালানোর জন্য শিল্পা শেট্টির স্বামী বিকল্প পথ ভেবে রেখেছিলেন।
‘হটশটস’ অ্যাপ বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য একটি অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন রাজ ‘বলিফেম’ নামে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে। ‘বলিফেম’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি হয়েছিল তাঁর ফোনে। সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন অ্যাপটি বাজারে আনার আলোচনাও করেছিলেন রাজ। তিনি লিখেছিলেন, ‘শুরু হয়ে গিয়েছে প্ল্যান বি-র কাজ। আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই নতুন অ্যাপটি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েডে চলে আসবে। এই খবরটা আশীর্বাদের মতোই।’
কিন্তু এই পুরো বিষয়টির দায়িত্বে থাকা উমেশ কামতকে আটক করে পুলিশ ফেব্রুয়ারিতেই। ফলে অ্যাপটি বাজারে আনার পরিকল্পনাও আরও পিছিয়ে যায় রাজের।
তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজ এবং উমেশ ছাড়াও এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর শ্যালক প্রদীপ বক্সী ছিলেন। খাতায়-কলমে তিনিই ‘হটশটস’ অ্যাপের কর্ণধার। অ্যাপটির মালিকানা প্রদীপের হাতে থাকা সত্ত্বেও রাজ সেটি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সব ধরনের অশ্লীল ভিডিয়ো এবং পুলিশি তদন্ত এড়িয়ে যাওয়ার জন্য চেয়েছিলেন অ্যাপটি বন্ধও করে দিতে।
রাজ গ্রেফতার হওয়ার পর পর্ন-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই সাতটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে অপরাধ দমনকারী শাখা। সেগুলিতে মোট সাড়ে সাত কোটি টাকা জমা ছিল। এই তদন্ত চালাতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের যশ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে তিন কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই রাজের ‘হটশটস’ অ্যাপের মতোই আর একটি অ্যাপ তদন্তকারীদের আতসকাচের নীচে এসেছে যার নাম ‘নিউফ্লিক্স’। কিন্তু যশ আপাতত সিঙ্গাপুরে।
রাজের আইনজীবী অবোদ পণ্ডার অবশ্য দাবি, যে ধরনের ছবি দেখানো হয়েছে তাঁর মক্কেলের ‘হটশটস’ অ্যাপে, সেগুলিকে পর্ন বলা যায় না। কারণ সেই ছবিগুলির মধ্যে ‘প্রকৃত যৌন সঙ্গম’ দেখানো হয়নি কোনওটিতেই। অবোদের মতে, অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো রাজের অ্যাপের ছবিগুলিকে ‘অশ্লীল’ বলা গেলেও ‘পর্ন’ তকমা দেওয়া যায় না সেগুলিকে।