শুক্রবার ফের কটাক্ষের শিকার জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এর কর্ত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এ দিন অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা একটি মজার পোস্ট ভাগ করে নেন নিজের সামাজিক পাতায়। উদ্বিগ্ন সুদীপা জনৈক ‘পেলে’-র বিবরণ জানিয়েছেন সেই পোস্টে। বলেছেন, ব্যক্তি নিরুদ্দেশ। তাঁর নাকি সন্ধান চাই।
সুদীপার বিবরণও ভারী মজাদার। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, ‘বয়স আনুমানিক ২৩-২৫ বছর। ব্রাজিল কোপায় হেরে যাওয়ায় মানসিক আঘাত পেয়ে “আমি মেসি! আমি মেসি!” বলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল!’ ব্যক্তিকে শেষ বার দেখা গিয়েছে নীল জামা আর সাদা প্যান্টে। বিশেষ চিহ্ন, নাকের নীচে একেবারেই মাস্ক না পরার চিহ্ন আছে! যে কোনও কচুরি, রোল, বিরিয়ানি বা চাউমিনের দোকানে এঁর দেখা মিলবে। মাঝেমধ্যে জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এও নাকি দেখা যায়। অনুরাগীদের কাছে সঞ্চালিকার অনুরোধ, ‘দেখে চিনতে পারলে আমাদের খবর দিন শিগগিরি। তবে ধরার চেষ্টা বৃথা। ব্রাজিল হারার পর থেকে ইনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে’।
গয়না, শাড়ি, নতুন ব্র্যান্ড খোলা নিয়ে সুদীপা ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার। এই পোস্ট নিয়েও যথারীতি কটাক্ষ পিছু ছাড়েনি। জনৈক নেটাগরিকের ব্যঙ্গ প্রকৃত ঘটনা না জেনেই, ‘তারকাদের কাছে দেখছি মানসিক অসুস্থতাও একটা খোরাক’! আসল ঘটনা ফাঁস করেছেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। সুদীপার কথায়, ওই ব্যক্তির আসল পরিচয় অরিজিৎ ঘোষ। রান্নার শো ‘রান্নাঘর’-এর প্রধান সহকারি পরিচালক। ডাক নাম পেলে। তাঁর দাবি, ‘ওঁকে আমি অনেক ছেলেবেলা থেকে চিনি। বরাহনগরের ছেলে ওঁ। ছোটবেলায় বেজায় দুষ্টু ছিল। ফুটবল খেলে পাড়ায় সবার বাড়ির জানলার কাচ ভাঙত। তাই ওঁর এমন ডাক নাম।’’
অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন, যখনই অরিজিতকে ওঁর দরকার পড়ে তখনই ওঁকে খুঁজে পান না তিনি! তার পরেই সুদীপার রসিকতা, ওঁর কোষ্ঠীতে! বোধহয় বকা লেখা আছে। সারাক্ষণ পরিচালক সুপ্রিয় বেদজ্ঞের কাছে বকুনি খান তিনি। আরও ফাঁস করলেন, ‘১৫ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করার পরেও ওর সঙ্গে আমার কোনও ছবি ছিল না। তাই ওকে জব্দ করতে মজা করে পোস্ট করেছিলাম আমি’। কিন্তু তাঁর মজা যে সকলে খোলা মনে মেনে নিতে পারেনি! শুনেই পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়েন নেটাগরিকের উদ্দেশ্যে সুদীপা। জানতে চান, মানুষ কি হাসতে ভুলে যাচ্ছে? এত কেন গম্ভীর সবাই?