বড় পর্দায় কাজ করার পাশাপাশি তিনি ছোট পর্দাতেও কাজ করতেন দাপিয়ে এবং তাঁর অভিনয়ে বুঁদ হতো ৮ থেকে ৮০ সকলেই। অনেক দিন ছোট পর্দা থেকে দূরে তিনি। নতুন বছরে তাই নতুন ভাবে পুরনো দুনিয়ায় ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। অপরাজিতা জানান যে, তাঁর অভিনয় শুরু ছোট পর্দা থেকে তাই ওখানে তাঁর প্রচুর দর্শক। তাঁরা তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন না। তিনিও ওঁদের ভালবাসা পাচ্ছেন না। তাই তাঁর এই ইচ্ছে বাস্তবায়িত হবে এবং সুযোগ পেলে ধারাবাহিকের পাশাপাশি সঞ্চালনারও খুব ইচ্ছে ছোট পর্দাতে।
তবে কি বড় পর্দা থেকে সরে আসবেন অপরাজিতা? সেইটা একেবারেই না, সাফ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, এখন ১৬ দিনে একটি ছবির কাজ শেষ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয় ১২ দিন। বাকি দিনগুলো অনায়াসে ধারাবাহিকের কাজ করতে পারবেন বলে দাবি অভিনেত্রীর। অর্থাৎ, তিনি দুই পর্দাতেই সমান ভাবে কাজ করতে চান। ইতিমধ্যেই চুল কেটে ফেলেছেন অপরাজিতা। অভিনেত্রী জানান, যে যে ছবির যেটুকু কাজ বাকি তা এই চুলেই সামলে নিতে পারবেন তিনি। তবে প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর আগামী ছবিতে তাঁর চরিত্রের সঙ্গে চুলের এই বিশেষ ভঙ্গি অনায়াসে মানিয়ে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।
সেই ছবির এখনও নাম ঠিক হয়নি তবে সেই ছবিতে অপরাজিতার চরিত্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ছবিতে তিনি এক মা। খুব কষ্ট করে মেয়েকে মানুষ করেছেন। তাঁর জীবনে একটি অঘটন আছে। স্বামী কোনও একটি কারণে তাঁর সঙ্গে থাকেন না। তার পরেও তিনি দমেননি। চলনে বলনে ঝকঝকে এই নারী সব কাজ একা হাতে সামলা নিতে পারেন। বিয়ের আগে এই নারীর জীবনে তাঁর থেকে বয়সে অনেক বড় এক পুরুষ এসেছিলেন। বাবা জোর করে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ায় সেই ভালবাসা আজ পরিণতি পায়নি। এবার মেয়ে মায়ের হারানো প্রেমিককে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবে। এইটাই এই ছবির গল্প। এবার দেখার বিষয় মেয়ে কি পারবে তাঁর মায়ের হারানো প্রেমিককে ফিরিয়ে আনতে?