সালটা ২০০৭। বচ্চন পরিবারের জুহুর বাংলোতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বা জন সম্মুখে, যেখানেই হোক তাঁরা সুখী দাম্পত্যের ছবি সব জায়গায় ধরে রেখেছেন। যে কোনও সম্পর্ক, বিশেষত দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল রাখার উপায় কী? অন্তত ঐশ্বর্যা নিজে কী মেনে চলেন সেই উপায়? অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়েই নিজের মত জানিয়েছিলেন।

ঐশ্বর্যা বলেছেন যে, সম্পর্কে অনেক অ্যাডজাস্টমেন্ট থাকে। গিভ অ্যান্ড টেক পলিশি থাকে। মতের মিল এবং অমিল দুই থাকে। কিন্তু এ সবের মধ্যেও কমিউনিকেশ থাকতে হবে সেই সম্পর্কে। কথা চালিয়ে যেতে হবে। সেটাই তিনি সব সময় বিশ্বাস করেন। অভিষেকও নাকি সেটা সম্মান করেন। যে কোনও সম্পর্কেই কথা বলা খুব জরুরি, মনে করেন ঐশ্বর্যা। এও বলেন যে, সব সম্পর্ক তো আর বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হয় না।
তিনি আরও জানান, তিনি এ কথা যে প্রথম বলছেন, আর কেউ বলেননি, এমনটা কিন্তু নয়। অন্তত ঝগড়া হলে সমস্যা হলে সেটা তিনি এবং অভিষেক তৎক্ষণাৎ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই ঝামেলার রেশ যাতে আগামী দিনে না যায়, তার খেয়ালও রাখেন তাঁরা। তিনি বলেন যে, সম্পর্ক কিন্তু কোনও নিয়মের বই নয়। যে সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করা যাবে। কিন্তু তাঁরা ওপেন মাইন্ডেড থাকার চেষ্টা করেন। একে অপরকে সম্মান করেন। পার্টনারের প্রতি সেনসিটিভ হওয়াটা দরকার বলে মনে করেন ঐশ্বর্যা।
অভিনেত্রী ঐশ্বর্যার সফল কেরিয়ারের পাশে অভিষেকের তুলনায় কম সফল কেরিয়ার নিয়ে নাকি তাঁদের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই রয়েছে, এমনটাই মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। তবে তা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নন কেউই। তাঁরা আপাতত কাজ, পরিবার, একমাত্র সন্তান আরাধ্যাকে নিয়ে ভাল সময় কাটাচ্ছেন।