আজ ৩১শে অগস্ট। তিনি বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হত ৫৮ বছর। অসংখ্য চলচ্চিত্র প্রেমী মানুষের কাছে আজকের দিনটা খুবই আনন্দের। আজ মহান চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের ৫৮তম জন্মদিন। প্রতিদিনের মতো আজও তাঁর অনুরাগীরা মনে করবেন তাঁদের প্রিয় ঋতুকে। অনেকের কাছে আবার দিনটা চরম দুঃখেরও। কিন্তু তাঁর গুণগ্রাহী ও বন্ধুরা মনেই করেন না ঋতুপর্ণ নেই, শিল্পীর চলে গেলেও তাঁর কাজ যে রয়ে যায়। এদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একটি খোলা চিঠি লিখেছেন তাঁর বন্ধু ঋতুপর্ণ ঘোষকে।
অভিনেতা প্রসেনজিতের চিঠিতেই স্পষ্ট হয়েছে, প্রতি বছর জন্মদিনে ঋতুপর্ণ ঘোষ আলু পোস্ত খেতে ভালোবাসতেন। নিজের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতেন। পড়ে শোনাতেন তাঁকে। এই সব কিছু আজ বড্ড মিস করছেন প্রসেনজিৎ। তাই তিনি এই খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠির শেষে লিখেছেন, যেখানেই থাকুন ঋতুপর্ণ, নিশ্চয়ই পড়ছেন সেই চিঠি।
সকলেই আমরা জানি প্রসেনজিতের কেরিয়ারকে নতুন মোড় দিয়েছিলেন স্বয়ং ঋতুপর্ণই। নায়ক প্রসেনজিৎ থেকে তাঁকে গড়ে তুলেছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ। যে প্রসেনজিৎ অ্যাকশন ও কমার্শিয়াল ছবিতে ‘পোয়েনজিৎ’ ছিলেন, তাঁকে দিয়ে ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘দোসর’, ‘চোখের বালি’, ‘নৌকা ডুবি’, ‘খেলা’র মতো ছবিতে অভিনয় করিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। এক অন্য প্রসেনজিৎকে খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ। প্রসেনজিৎও নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন। প্রসেনজিতের বাড়ির নামকরণ করেছিলেন ঋতুপর্ণ নিজেই। সেই বাড়িতে প্রতিদিনই ‘উৎসব’ হয়। কিন্তু যাপনে থাকেন না সকলের প্রিয় ঋতু। যদিও সকলের মনের তিনি আজও সদা বিরাজমান।