দক্ষিণী ভাষার ছবিতে আগেও দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী দর্শনা বণিককে। এবার নাগার্জুনের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। নাগার্জুনের প্রযোজনায় ‘বাঙারাজু’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্মসিটিতে ছবির প্রথম অংশের শুটিং শেষ করে কলকাতায় ফিরে অভিনেত্রী জানান যে, এত দিন ধরে এমন একটা চরিত্রের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি ঠিক সেই চরিত্রই তিনি পেয়েছেন। এখানে তিনি একটি ডান্সও করেছেন। তাঁর আগের যে কোনও ছবির চরিত্রের চেয়ে এটি একেবারেই আলাদা। স্বর্গ ও মর্ত্য এই দুই পৃথিবী নিয়ে এই ছবির গল্প। স্বর্গের ঊর্বশীর চরিত্রে রয়েছেন তিনি। নাগার্জুন মর্ত্য থেকে স্বর্গে এসে সেই ঊর্বশীর দেখা পান। দক্ষিণ ভারতীয় ছবির গল্প বরাবরই ছক ভাঙে। কল্যাণ কৃষ্ণা পরিচালিত ‘বাঙারাজু’-ও সেই পথেই এগিয়েছে। ছবিতে নাগার্জুন-দর্শনা ছাড়াও রয়েছেন নাগার্জুনের ছেলে নাগা চৈতন্য, কৃত্তি শেঠি, রামাইয়া কৃষ্ণন প্রমুখ অভিনেতারা।
তাঁর মোট দক্ষিণী ভাষার ছবির সংখ্যা চার। কিন্তু এত দিন সে ভাবে নজরে পড়ার মতো চরিত্র বা প্রযোজনা সংস্থায় সুযোগ পাননি তিনি। এবার সফল হয়েছেন তিনি। নাগার্জুনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা তাঁর কী রকম ছিল? দর্শনা বলেন, নাগার্জুন তাঁর খুবই প্রিয় অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছেন, তিনি যে কোনও শিল্পীকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন। চেহারায় বা কাজে কোনও ভাবেই বয়সের ছাপ পড়তে দেননি নায়ক। তাঁর কথায়, ‘পর্দার বাইরে আরও বেশি হ্যান্ডসাম। কে বলবে, ওঁর ৬২ বছর বয়স? ’ অবসরে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, আড্ডা দিতেন তাঁরা দুজনে।
অভিনেত্রীকে চরিত্রের প্রয়োজনে টোনড বডি পেতে অনেক কসরত করতে হয়েছে। প্রায় একমাস ক্র্যাশ ডায়েটে ছিলেন তিনি। আর শুটিং ও তার আগের দিন তিনি শুধু ৭০০ এমএল জল খেয়ে থাকতেন। এখন অবশ্য কলকাতায় ফিরে ডায়েটে খানিকটা ছাড় মিললেও, কিছুদিন পর আবার ছবির বাকি অংশের শুটিং শেষ করতে পাড়ি দেবেন হায়দরাবাদে। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা পোঙ্গল উৎসবের সময়ে। তার আগেই অভিনেত্রীর তৃতীয় তেলুগু ছবি ‘ব্ল্যাক’এর মুক্তি পাওয়ার কথা আছে। ওই ছবি ঘিরেও দর্শনার অনেক আশা রয়েছে।